এক মগ কফি, কি! শুধুই কফি- নাকি? স্বাদ, ঘ্রাণ ও দৃষ্টি ইন্দ্রিয়ের মিশেল, আসলেই কৌতুহলজাগানিয়া অম্ল মিশ্রিত তিতকুটে পানীয়। চুমুকেই মুখের জ্যামিতির পরিবর্তন, সুঘ্রাণেই অর্ধভোজন, দর্শনেও নিগূঢ় তৃপ্তি এইতো কফি!
সেদিন ছিল অমাবস্যা, দেখা করার দিন, আমাদের গ্রাম ছিল পাশাপাশি,তবু অপেক্ষা অন্তহীন।
প্রমা-ই জিজীবিষা যেন মনীষা কোন দুর্মতি নয়, অথচ চমকও প্রীতির ঘনিষ্ঠতা অব্যক্ত রাখে না
বরই ফুলের পাশে মখমল রোদ উঠেছিল কাল ,আমি আকাশ দেখার লোভে খুলতে চেয়েছিলাম, বৈচিত্র্যের পুঁজি আর মানুষের তৈরি মানববাদ- গাছের স্বত্ব নিয়ে বাড়াবাড়ি করেছিলাম ঢের ,অথচ অনড় থেকেছিলাম পুঁজিবাদের পক্ষে!
জীবন চলার পথে কত ইচ্ছে হাতছানি দেয়, সব ইচ্ছে পূরণ হয় না, তবু রঙিন রঙিন, কত ইচ্ছে ডানা মেলে ওড়ে বহুদূর
টিনের ঘরে গোঁজা ছিল তালপাতার এক পাখা পাখাটিতে আমার মায়ের আদর সোহাগ মাখা।
লেজ-ঝুলঝুল একটি পাখি পাখায় দিয়ে ভর শিরীষগাছের শাখায়-শাখায় তোলে তুমুল ঝড়।
চোখ পাকিয়ে গোল ছুটলে কোথায় কোন পাড়াতে কোন ছেলেটার ভূত ছাড়াতে কোন গাছে আজ চড়বে তুমি কোথায় খাবে দোল!
‘লাউয়াছড়া’ গভীর বনে শিয়াল সাজে টিচার ‘হুক্কাহুয়া’ ডাক দিলে কয় বনমোরগে, জি স্যার! বলল শিয়াল ‘হুক্কাহুয়া’ ডাকতে হবে সবাই হুক্কাহুয়ার টিচিং নেবে? আমরা আছি ছ’ভাই!
আবিষ্কারের চাপলে নেশা মাথায় ডুবল মিঠুন বিশ্বজ্ঞানের পাতায়। আরকিমিডিস গ্যালিলিও কুরি পড়ছে মিঠুন ভরছে জ্ঞানের ঝুড়ি।
ভালুক গেল ভাগলপুরে বিচ ভলিবল খেলতে, বিড়াল মাছের দাওয়াত বলো কও কি পারে ফেলতে! শেয়াল যাবে শিয়ালদহে মুরগি বাড়ি বেড়াতে, কুমির গেল কুমারগঞ্জে আর ফেরেনি সে রাতে।
কবি আসাদ চৌধুরী নেই—তিনি লোকান্তরিত হয়েছেন। খবর পেয়েছিলাম অফিসে বসেই। সংবাদপত্র অফিসে মৃত্যুর খবরগুলো শোক হওয়ার সুযোগ পায় না। কারণ, শোক যাদের ছড়াতে হয়, তাদের শোক করার সময় কোথায়? কিন্তু আসাদ চৌধুরীর মৃত্যু আমার কাছে অত সহজ বিষয় নয়।
‘তবক দেওয়া পান’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদ চৌধুরী ৫ অক্টোবর, ২০২৩ স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৩টার দিকে টরন্টোর অদূরে আসোয়া শহরের লেকরিচ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যু শব্দটির সাথে স্তব্ধ হয়ে গেল কাঁধে ঝোলা, পানের রঙে রঞ্জিত লাল ঠোঁটে সদা হাস্য একজন কবির
দিব্যি, বেঁচে আছি! এমন অজুহাতে কিছুকাল আয়ুষ্মান হয়ে উঠবো; রঙচঙে জড়ানো মায়া-আবহ ৷ আমাদের এখন ভরা বসন্ত যদিও ৷ তথাপি—সংগ্রামী পথে শাদা শাদা কাশফুল—দুলছে!
বিকেলজুড়ে নাগিনডান্স, এমন মাতোয়ারা, হাঁটুগেড়ে বসে গেছে রোদ আর কোমর দুলিয়ে নামছে ঝরাপাতা। এমন আনন্দের অপেক্ষা করতে গিয়ে টেনে আনি ডিলিট প্রসঙ্গ। রিসাইকেল বিন থেকে কুড়াই স্মৃতি, বিদায় সংলাপ।
মানুষ কথা বলা শিখেছে কথা কিনে খাই। বাজারে আগুন--সে আঁচ বুকে করে আনি বাড়িতে ছানাপোনা, ঘরসংসার তাদের সেদ্ধ করে দেই কথার প্রলাপ
মেষপালক ও ও যিশু শোনো বলি, এই পৃথিবী ডালিম দানা রক্ত-ভূমি। তুমি’তো বলো যুদ্ধ ও শান্তি, শান্তি ও যুদ্ধ পরস্পর ভাই। আঙুরের খেত লকলক করে যেন গমফুল।